মেরিলিন মনরো: একটি রহস্যময় যৌনতার প্রতীক, জীবনের অজানা অধ্যায়

 মেরিলিন মনরো: একটি রহস্যময় যৌনতার প্রতীক, জীবনের অজানা অধ্যায়



মেরিলিন মনরো, যাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে আছে সৌন্দর্য, গ্ল্যামার এবং রহস্য। জানুন তাঁর শৈশব, ক্যারিয়ার, প্রেম, বিয়ে এবং মৃত্যুর চারপাশে অজানা বিভিন্ন তথ্য।

🌟 মেরিলিন মনরো: একটি কিংবদন্তির উত্থান, প্রেম, রহস্য ও মৃত্যু

১ জুন—এই দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ইতিহাসের অন্যতম আবেদনময়ী, বিতর্কিত ও আলোচিত এক অভিনেত্রী। ১৯২৬ সালের এই দিনে লস অ্যাঞ্জেলেসে জন্ম নেন মেরিলিন মনরো, যাঁর প্রকৃত নাম ছিল নোর্মা জিন মর্টেনসন।

👶 শৈশব ও সংগ্রাম

মেরিলিনের জীবন শুরু থেকেই ছিল সংগ্রামী। মানসিকভাবে অসুস্থ মায়ের কারণে ছোটবেলা কেটেছে অনাথ আশ্রম ও আশ্রয়কেন্দ্রে। ১৬ বছর বয়সে বিয়ে, তারপর কাজ একটি ফ্যাক্টরিতে—সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর ক্যারিয়ারের মোড় ঘোরা।

📸 মডেলিং থেকে সিনেমার জগতে



এক ফটোগ্রাফারের নজরে পড়ে যান তিনি, শুরু হয় মডেলিং ক্যারিয়ার। এরপর টোয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি ফক্স এর সঙ্গে চুক্তি—সেই থেকেই নাম বদলে রাখা হয় মেরিলিন মনরো। একের পর এক হিট সিনেমা, জনপ্রিয়তা ছুঁয়েছে আকাশ।  

🎬 জনপ্রিয় সিনেমা:




লেডিস অব দ্য কোরাস
অল অ্যাবাউট ইভ
নায়াগ্রা
দ্য সেভেন ইয়ার ইচ

💔 প্রেম, বিয়ে ও হৃদয়ভাঙা

তাঁর জীবনে প্রেম এসেছিল একাধিকবার—মার্লন ব্র্যান্ডো, ডি ম্যাগিয়ো, আর্থার মিলার—সবাই ছিলেন এই তারকার জীবনের কোনো না কোনো অধ্যায়ে। কিন্তু প্রতিটি সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত টেকেনি। মিলারের সঙ্গে বিয়ের পর ধর্মান্তরিত হয়ে ইহুদি হন মেরিলিন।

💋 সৌন্দর্যের রহস্য

মেরিলিন ছিলেন সৌন্দর্যচর্চায় অভ্যস্ত। ঘুম, ঠান্ডা পানিতে স্নান, বরফগলা জল, সুনির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস—সবই ছিল তাঁর রুটিনে। রোদ এড়িয়ে চলা, মেকআপের যত্ন—সবকিছুই সৌন্দর্য রক্ষায় সহায়ক ছিল।

📷 নগ্ন ফটোশুট ও বিতর্ক

দারিদ্র্যের কারণে ক্যারিয়ারের শুরুতে একটি নগ্ন ফটোশুট করেন, নাম দিয়েছিলেন ‘মোনা মনরো’। পরে নিজেই স্বীকার করেন সেটি তাঁর ছবি। এই ফটোশুটই মার্কিন সমাজের নগ্নতা-ট্যাবু ভাঙার সূচনা করে।

🎂 বিশ্ব বিখ্যাত সেই স্কার্ট দৃশ্য

১৯৫৫ সালের দ্য সেভেন ইয়ার ইচ সিনেমার সেই বিখ্যাত স্কার্ট-ওড়া দৃশ্য আজও ইতিহাসে চিরস্মরণীয়। সেই স্কার্ট ২০১১ সালে নিলামে বিক্রি হয় ৪.৬ মিলিয়ন ডলারে

🕵️ কেনেডির সঙ্গে সম্পর্ক ও মৃত্যু

প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি-র সঙ্গে সম্পর্কের গুঞ্জন ছিল সবচেয়ে আলোচিত। ১৯৬২ সালে ৫ আগস্ট মেরিলিনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর মৃত্যু আত্মহত্যা বলা হলেও রহস্য ঘিরে রয়েছে বহু ষড়যন্ত্র তত্ত্ব।

🖤 মেরিলিন মনরোকে ঘিরে শেষ প্রশ্ন

মেরিলিনের মৃত্যুর পরে রয়ে গেছে শুধু প্রশ্ন—আত্মহত্যা নাকি হত্যা? প্রেম, ব্যর্থতা, অবহেলা, রাজনীতি, নাকি শুধু মানসিক অবসাদ—কে দায়ী সেই মৃত্যুর জন্য?

📌 শেষ কথা

মেরিলিন মনরো ছিলেন এক অমর প্রতীক। যাঁর সৌন্দর্য, কাজ আর রহস্য আজও বিশ্ববাসীকে আকর্ষণ করে। জন্মদিনে ফিরে দেখা যায় তাঁর জীবনের সেই অসামান্য অধ্যায়গুলো, যেগুলো শুধু চলচ্চিত্র নয়—মানব ইতিহাসেরও অংশ।


Read English

মন্তব্যসমূহ